“পড়ুয়ার ছোট গল্প” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
একই ধরণের গ্রন্থ
বাংলা কবিতায় আধুনিক
By জীবেশ নায়ক
₹250
কিশাের বয়সে বাংলা কবিতা আমার কাছে উপভােগ্য বিষয় ছিল। বিশেষ করে যে সব কবিতায় দেশপ্রেম, ঐতিহ্য গৌরব, সাম্য ও স্বাধীনতার বাণী ছন্দে প্রকাশ পেত -সেসব কবিতা যথেষ্ট উদ্দীপনার সঞ্চার করত। মধুসূদন, দ্বিজেন্দ্রলাল, রবীন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত-মূলত এরাই ছিলেন আমার ধারণায় সেরা কবি। ইংরেজ কবিদের মধ্যে শেকসপিয়র, কোলরিজ, শেলি, কিটস এবং সংস্কৃতের কালিদাস তাে সবার আগে। তার সঙ্গে আরও অনেকের শ্লোক ও প্রকীর্ণ কবিতা। বেশি আনন্দ পাওয়া যেত মানবিক আবেদনের ছোঁয়া এবং প্রতিবাদের বাণী-বৈষম্য, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রচিত কবিতা পাঠ করে। তথাকথিত আধুনিকের ছকে বাঁধা কবিতার সঙ্গে পরিচয় হল আরও কিছু পরে। ইতিমধ্যে বৈষ্ণব ও শাক্ত পদকারদের কাব্যভাবও মনকে টানছে। সেই অবস্থায় মনে হতে লাগল বাংলা সাহিত্যে কাব্য পরিবেশ যেন স্পষ্ট দুটো ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত কবিতার জনপ্রিয়তা সমাজে বিস্তারিত ক্ষেত্র পেয়েছিল। আধুনিক যেন ভাষায়, ভঙ্গিতে, বিষয়বস্তুতে একটা অচেনার দুর্বোধ্যতার দূরত্ব রচনা করে দিল। সত্য বলতে কী, সামান্য কিছু কবিতা বাদ দিলে আধুনিকের প্রতি মনে মনে একটা বিরাগ দেখা দিল। সবচেয়ে বেশি লাগত-কবিতার সম্পূর্ণ অচেনা নাগরিক ভাবাপন্ন পরিবেশ এবং একান্ত ব্যক্তি আবেষ্টনীর বেড়াজাল ছিন্ন করতে না পারার অক্ষমতা। অবশ্য ব্যক্তিগত ভাবে আধুনিক কবিতার সঙ্গে অনাত্মীয়তার বাধা আমাকে বেশি পীড়িত করত। নাগরিক ভাবের কায়দাকানুন, হাবভাব আমার অজানাই থেকে গেছে। তার সঙ্গে বিদেশি কাব্য ও মতবাদ থেকে অবিরল পরিগ্রহণ আধুনিক থেকে মানুষকে আরও দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
বাংলা কাব্যের আঙিনায় সর্বস্তরের মানুষকে স্বচ্ছন্দ বিচরণের অধিকার থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে? তার রহস্য যদি কিছু থাকে তা সন্ধানের একটা শপথ কাজ করছিল। বহু পরিশ্রম করে অনেক আধুনিক কাব্য রচনার পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করেছি। তাতে কোনাে কোনাে কবির অনেক কবিতা এবং অন্য অনেকের কিছু কবিতা আমার কাছে প্রশংসনীয় মনে হয়েছে। কিন্তু এমন পরিশ্রম ব্যয় করার শর্ত পূরণ করে কবিতার দিকে নানা কারণে সব মানুষের পক্ষে অভিমুখী হওয়া সম্ভব কি? প্রায়শই আমার মনে হত, মানবিক কোন কিছুকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য মানুষের মনকে ভিন্নমুখী করার কোন প্রয়াস নয়তাে? তার খোঁজ নিতে গিয়ে যা পেয়েছি ' বাংলা কবিতায় আধুনিক ' বইতে তাকেই তুলে ধরা গেল।
বাংলা কবিতায় আধুনিক
By জীবেশ নায়ক
₹250
কিশাের বয়সে বাংলা কবিতা আমার কাছে উপভােগ্য বিষয় ছিল। বিশেষ করে যে সব কবিতায় দেশপ্রেম, ঐতিহ্য গৌরব, সাম্য ও স্বাধীনতার বাণী ছন্দে প্রকাশ পেত -সেসব কবিতা যথেষ্ট উদ্দীপনার সঞ্চার করত। মধুসূদন, দ্বিজেন্দ্রলাল, রবীন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত-মূলত এরাই ছিলেন আমার ধারণায় সেরা কবি। ইংরেজ কবিদের মধ্যে শেকসপিয়র, কোলরিজ, শেলি, কিটস এবং সংস্কৃতের কালিদাস তাে সবার আগে। তার সঙ্গে আরও অনেকের শ্লোক ও প্রকীর্ণ কবিতা। বেশি আনন্দ পাওয়া যেত মানবিক আবেদনের ছোঁয়া এবং প্রতিবাদের বাণী-বৈষম্য, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রচিত কবিতা পাঠ করে। তথাকথিত আধুনিকের ছকে বাঁধা কবিতার সঙ্গে পরিচয় হল আরও কিছু পরে। ইতিমধ্যে বৈষ্ণব ও শাক্ত পদকারদের কাব্যভাবও মনকে টানছে। সেই অবস্থায় মনে হতে লাগল বাংলা সাহিত্যে কাব্য পরিবেশ যেন স্পষ্ট দুটো ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত কবিতার জনপ্রিয়তা সমাজে বিস্তারিত ক্ষেত্র পেয়েছিল। আধুনিক যেন ভাষায়, ভঙ্গিতে, বিষয়বস্তুতে একটা অচেনার দুর্বোধ্যতার দূরত্ব রচনা করে দিল। সত্য বলতে কী, সামান্য কিছু কবিতা বাদ দিলে আধুনিকের প্রতি মনে মনে একটা বিরাগ দেখা দিল। সবচেয়ে বেশি লাগত-কবিতার সম্পূর্ণ অচেনা নাগরিক ভাবাপন্ন পরিবেশ এবং একান্ত ব্যক্তি আবেষ্টনীর বেড়াজাল ছিন্ন করতে না পারার অক্ষমতা। অবশ্য ব্যক্তিগত ভাবে আধুনিক কবিতার সঙ্গে অনাত্মীয়তার বাধা আমাকে বেশি পীড়িত করত। নাগরিক ভাবের কায়দাকানুন, হাবভাব আমার অজানাই থেকে গেছে। তার সঙ্গে বিদেশি কাব্য ও মতবাদ থেকে অবিরল পরিগ্রহণ আধুনিক থেকে মানুষকে আরও দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
বাংলা কাব্যের আঙিনায় সর্বস্তরের মানুষকে স্বচ্ছন্দ বিচরণের অধিকার থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে? তার রহস্য যদি কিছু থাকে তা সন্ধানের একটা শপথ কাজ করছিল। বহু পরিশ্রম করে অনেক আধুনিক কাব্য রচনার পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করেছি। তাতে কোনাে কোনাে কবির অনেক কবিতা এবং অন্য অনেকের কিছু কবিতা আমার কাছে প্রশংসনীয় মনে হয়েছে। কিন্তু এমন পরিশ্রম ব্যয় করার শর্ত পূরণ করে কবিতার দিকে নানা কারণে সব মানুষের পক্ষে অভিমুখী হওয়া সম্ভব কি? প্রায়শই আমার মনে হত, মানবিক কোন কিছুকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য মানুষের মনকে ভিন্নমুখী করার কোন প্রয়াস নয়তাে? তার খোঁজ নিতে গিয়ে যা পেয়েছি ' বাংলা কবিতায় আধুনিক ' বইতে তাকেই তুলে ধরা গেল।
বীরভূমের রাঙামাটি ও তারাশঙ্কর
₹200
বীরভূমের রাঙামাটি তপস্বিনী আর তার সন্তান তারাশঙ্করও ছিলেন তপস্বী। বীরভূমের রাস্তামাটি আপন ঐতিহ্যের উপহারস্বরূপ শিল্পী তারাশঙ্করকে একজন শ্রেষ্ঠ তপস্বী হিসাবে ভারতীয় সাহিত্যের সাধনপীঠে প্রতিষ্ঠা দিয়েছেন। জন্মভূমি ভূখণ্ডের মনস্তাত্ত্বিক ঐতিহ্যে সিল্ক-রাত তারাশঙ্কর তার সাধনপথে মাতৃভূমির এই মহিমাকে মাথায় রেখেছিলেন। তাই সাহিত্য সাধনার সূচনাপর্বে তারাশঙ্কর তার নিজের জেলা বীরভূমকে কলমের ডগায় অক্ষরে অক্ষরে সাজিয়ে রূপ দেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। শুধু স্বপ্ন দেখা নয়, সমগ্র জীবন ধরে সেই স্বপ্নকে সত্য করে তোলার সাধনাতেও রত ছিলেন তিনি। নিজের জেলা বীরভূমকে কখনােই ভুলে যান নি তিনি। বীরভূমের গ্রাম-গঞ্জ থেকে শুরু নদ-নদী ভূমিপ্রকৃতি এবং এখানকার মানুষকে যেভাবে দেখেছেন তারই নৈবেদ্য নিয়ে বঙ্গসরস্বতীর বেদীমূলে উপহার স্বরূপ নিবেদন করেছেন। রাঙামাটির বীরভূমকে তারাশঙ্কর কিভাবে দেখেছিলেন তারই এক রূপরেখা অঙ্কন করা হয়েছে ' বীরভূমের রাঙামাটি ও তারাশঙ্কর ' গ্রন্থে।
বীরভূমের রাঙামাটি ও তারাশঙ্কর
₹200
বীরভূমের রাঙামাটি তপস্বিনী আর তার সন্তান তারাশঙ্করও ছিলেন তপস্বী। বীরভূমের রাস্তামাটি আপন ঐতিহ্যের উপহারস্বরূপ শিল্পী তারাশঙ্করকে একজন শ্রেষ্ঠ তপস্বী হিসাবে ভারতীয় সাহিত্যের সাধনপীঠে প্রতিষ্ঠা দিয়েছেন। জন্মভূমি ভূখণ্ডের মনস্তাত্ত্বিক ঐতিহ্যে সিল্ক-রাত তারাশঙ্কর তার সাধনপথে মাতৃভূমির এই মহিমাকে মাথায় রেখেছিলেন। তাই সাহিত্য সাধনার সূচনাপর্বে তারাশঙ্কর তার নিজের জেলা বীরভূমকে কলমের ডগায় অক্ষরে অক্ষরে সাজিয়ে রূপ দেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। শুধু স্বপ্ন দেখা নয়, সমগ্র জীবন ধরে সেই স্বপ্নকে সত্য করে তোলার সাধনাতেও রত ছিলেন তিনি। নিজের জেলা বীরভূমকে কখনােই ভুলে যান নি তিনি। বীরভূমের গ্রাম-গঞ্জ থেকে শুরু নদ-নদী ভূমিপ্রকৃতি এবং এখানকার মানুষকে যেভাবে দেখেছেন তারই নৈবেদ্য নিয়ে বঙ্গসরস্বতীর বেদীমূলে উপহার স্বরূপ নিবেদন করেছেন। রাঙামাটির বীরভূমকে তারাশঙ্কর কিভাবে দেখেছিলেন তারই এক রূপরেখা অঙ্কন করা হয়েছে ' বীরভূমের রাঙামাটি ও তারাশঙ্কর ' গ্রন্থে।
নির্বাচিত অনুক্ত
₹250
ত্রৈমাসিক অনুক্তর প্রথম পর্ব ষাট বছর আগে চার বছরের জীবন শেষ করেছিল । এক দশক পরে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছিল আরো বারো বছর । দুই দফায় মোট ষোলো বছর। " নির্বাচিত অনুক্ত " প্রথম চার বছরের প্রত্যেকটি সংখ্যা থেকে নির্বাচিত লেখার সংকলন। পঞ্চাশের দশকের কিছু কিছু পত্রিকা নিয়ে পাঠক মহলে মাতামাতির শেষ নেই। অথচ কবি সুনীলকুমার নন্দী সম্পাদিত অসামান্য এই পত্রিকার আলোচনা তুলনায় অনেক কম। মেধাবী পাঠক অবশ্য খোঁজ রাখেন। এক অসামান্য রত্নসম্ভার। একই সংখ্যায় বুদ্ধদেব বসু, জীবনানন্দ দাশ, সুধীন দত্ত, নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র প্রমূখর উজ্জল উপস্থিতি। ছাপা, বাধাই, লেখা ও লেখক নির্বাচন যেদিকেই চোখ যায় মনন ও মেধার মহামিলন চমকে দিতে পারে। প্রচারবিমুখ সুনীল কুমার পুত্র-স্নেহে নির্মাণ করছেন প্রত্যেকটি সংখ্যা, যা আজও বিস্ময় জাগায়। এই সংকলনের সম্পাদক সৌমিত্র লাহিড়ী কবি সুনীল নন্দীর প্রত্যক্ষ সাহায্য-সহযোগিতা ও সাহচর্য পেয়ে বাছাই করেছেন প্রত্যেকটি লেখা। আবিষ্কারের আনন্দ খননের উদ্দীপনা আর মননের প্রতিবিম্ব হয়ে ওঠা এই সংকলন মেধাসম্পন্ন পাঠকের অনন্য সংগ্রহ রূপে চিহ্নিত হওয়ার যোগ্য।
নির্বাচিত অনুক্ত
₹250
ত্রৈমাসিক অনুক্তর প্রথম পর্ব ষাট বছর আগে চার বছরের জীবন শেষ করেছিল । এক দশক পরে পুনঃপ্রকাশিত হয়েছিল আরো বারো বছর । দুই দফায় মোট ষোলো বছর। " নির্বাচিত অনুক্ত " প্রথম চার বছরের প্রত্যেকটি সংখ্যা থেকে নির্বাচিত লেখার সংকলন। পঞ্চাশের দশকের কিছু কিছু পত্রিকা নিয়ে পাঠক মহলে মাতামাতির শেষ নেই। অথচ কবি সুনীলকুমার নন্দী সম্পাদিত অসামান্য এই পত্রিকার আলোচনা তুলনায় অনেক কম। মেধাবী পাঠক অবশ্য খোঁজ রাখেন। এক অসামান্য রত্নসম্ভার। একই সংখ্যায় বুদ্ধদেব বসু, জীবনানন্দ দাশ, সুধীন দত্ত, নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র প্রমূখর উজ্জল উপস্থিতি। ছাপা, বাধাই, লেখা ও লেখক নির্বাচন যেদিকেই চোখ যায় মনন ও মেধার মহামিলন চমকে দিতে পারে। প্রচারবিমুখ সুনীল কুমার পুত্র-স্নেহে নির্মাণ করছেন প্রত্যেকটি সংখ্যা, যা আজও বিস্ময় জাগায়। এই সংকলনের সম্পাদক সৌমিত্র লাহিড়ী কবি সুনীল নন্দীর প্রত্যক্ষ সাহায্য-সহযোগিতা ও সাহচর্য পেয়ে বাছাই করেছেন প্রত্যেকটি লেখা। আবিষ্কারের আনন্দ খননের উদ্দীপনা আর মননের প্রতিবিম্ব হয়ে ওঠা এই সংকলন মেধাসম্পন্ন পাঠকের অনন্য সংগ্রহ রূপে চিহ্নিত হওয়ার যোগ্য।
শ্রীচরণেষু
By তারক রেজ
₹200
বইয়ের লেখা মূলত দর্শনমুখী। শুধু জীবন নয়, জীবনকে অতিক্রম করার অভিলাষ এই লেখায় উঠে এসেছে। ধ্বংসের ভয় নয়। সৃষ্টির জয় শেষ কথা। তাই মনুষত্বের জয়ের ভেরি নিনাদিত হয় "শ্রীচরণেষু" বইটিতে।
শ্রীচরণেষু
By তারক রেজ
₹200
বইয়ের লেখা মূলত দর্শনমুখী। শুধু জীবন নয়, জীবনকে অতিক্রম করার অভিলাষ এই লেখায় উঠে এসেছে। ধ্বংসের ভয় নয়। সৃষ্টির জয় শেষ কথা। তাই মনুষত্বের জয়ের ভেরি নিনাদিত হয় "শ্রীচরণেষু" বইটিতে।