“জলাঞ্জলি” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
মুর্গাঝুটির লাল ধুল
By জয়া গোয়ালা
Publisher: একুশ শতক
₹80
ত্রিপুরার মনতলা চা-বাগানের এক শ্রমিক দম্পতির সন্তান তিনি। আজন্ম নিঃস্ব শ্রমজীবী প্রান্তিক মানুষের জীবনের যন্ত্রণা ও লড়াই, তার নিজের জীবনের সঙ্গে যুক্ত। আরোপিত কিছু নয়, ফলে তাঁর সৃষ্ট উপন্যাস সেই টাটকা অভিজ্ঞতার স্বাদ এনে দেয়। সৃজনকর্ম চিহ্নিত হয় অসামান্য গভীরতায়। ‘ মুর্গাঝুটির লাল ধুল ‘ উপন্যাসটি তারই একটি নিদর্শন।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-mjld01
ত্রিপুরার মনতলা চা-বাগানের এক শ্রমিক দম্পতির সন্তান তিনি। আজন্ম নিঃস্ব শ্রমজীবী প্রান্তিক মানুষের জীবনের যন্ত্রণা ও লড়াই, তার নিজের জীবনের সঙ্গে যুক্ত। আরোপিত কিছু নয়, ফলে তাঁর সৃষ্ট উপন্যাস সেই টাটকা অভিজ্ঞতার স্বাদ এনে দেয়। সৃজনকর্ম চিহ্নিত হয় অসামান্য গভীরতায়। ‘ মুর্গাঝুটির লাল ধুল ‘ উপন্যাসটি তারই একটি নিদর্শন।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
সুরমা গাঙর পানি
₹300
সুরমা গাঙর পানি উপন্যাসে উঠে এসেছে দেশভাগ নামক বাঙালির আদিপাপ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রণার কালকূটকথা। সুখী সমাজের আলোকিতজনদের জন্য পরিকল্পিত রাজনীতির বিষক্রিয়ায় সর্বস্বান্ত হয় যারা, সেইসব অন্ধকারবদী নিম্নবর্গীয়দের আঁকড়ে ধরার মতো খড়কুটোও থাকে না কোথাও। এই আখ্যানে সুরমা নদীর জল পুরোপুরি চিহ্নায়িত। কালস্রোতে ভেসে যায় ভাটির দেশের মৎস্যজীবী তরুণ; জীবিকার বাইরে অন্য এক জীবনের ইশারা দেখতে পেয়েও কাটে না তার অনিকেত অবস্থা। দেশভাগ চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয় তার স্মৃতি-সত্তা-ভবিষ্যৎ। একমাত্র বন্ধুকে হারায় সে প্রতীকায়িত প্রাকৃতিক দুর্যোগে আবার নতুন বন্ধু খুঁজে পায় শহর শিলচরের ব্রাত্যজনের মধ্যে। তার চারদিকে গাঢ়তর হয়ে ওঠে অন্ধকার কিন্তু সে লড়াই জারি রাখে, নিজের সঙ্গে এবং বৈরি পরিবেশের সঙ্গে। হয়তো নিশ্চিত মাথাগোঁজার ঠাই সে পায় না কিন্তু ভেসে চলে। নদীর উজান থেকে সময়ের উজানে। এই আখ্যান তাই কখনও হার না মানা মানুষের যে কখনও কখনও পিছিয়ে পড়লেও পর্যুদস্ত হয় না শেষ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে যে-দেশভাগ অনুপস্থিত উপস্থিতি মাত্র, লেখক সেই নৈঃশব্দ্যের রাজনীতির উপযুক্ত প্রত্যুত্তর দিয়েছেন সর্বতোভাবে ব্যতিক্রমধর্মী এই বয়ানে।
সুরমা গাঙর পানি
₹300
সুরমা গাঙর পানি উপন্যাসে উঠে এসেছে দেশভাগ নামক বাঙালির আদিপাপ সংশ্লিষ্ট যন্ত্রণার কালকূটকথা। সুখী সমাজের আলোকিতজনদের জন্য পরিকল্পিত রাজনীতির বিষক্রিয়ায় সর্বস্বান্ত হয় যারা, সেইসব অন্ধকারবদী নিম্নবর্গীয়দের আঁকড়ে ধরার মতো খড়কুটোও থাকে না কোথাও। এই আখ্যানে সুরমা নদীর জল পুরোপুরি চিহ্নায়িত। কালস্রোতে ভেসে যায় ভাটির দেশের মৎস্যজীবী তরুণ; জীবিকার বাইরে অন্য এক জীবনের ইশারা দেখতে পেয়েও কাটে না তার অনিকেত অবস্থা। দেশভাগ চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয় তার স্মৃতি-সত্তা-ভবিষ্যৎ। একমাত্র বন্ধুকে হারায় সে প্রতীকায়িত প্রাকৃতিক দুর্যোগে আবার নতুন বন্ধু খুঁজে পায় শহর শিলচরের ব্রাত্যজনের মধ্যে। তার চারদিকে গাঢ়তর হয়ে ওঠে অন্ধকার কিন্তু সে লড়াই জারি রাখে, নিজের সঙ্গে এবং বৈরি পরিবেশের সঙ্গে। হয়তো নিশ্চিত মাথাগোঁজার ঠাই সে পায় না কিন্তু ভেসে চলে। নদীর উজান থেকে সময়ের উজানে। এই আখ্যান তাই কখনও হার না মানা মানুষের যে কখনও কখনও পিছিয়ে পড়লেও পর্যুদস্ত হয় না শেষ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে যে-দেশভাগ অনুপস্থিত উপস্থিতি মাত্র, লেখক সেই নৈঃশব্দ্যের রাজনীতির উপযুক্ত প্রত্যুত্তর দিয়েছেন সর্বতোভাবে ব্যতিক্রমধর্মী এই বয়ানে।
ঘুরে এলাম পাহাড় মরু সাগরের দেশ
₹200
ভ্রমণ নিয়ে আমার প্রথম বই 'লিড্সের ডায়েরি'। মাঝখানে বেশ কয়েকটি বছর পেরিয়ে এসে ' ঘুরে এলাম পাহাড় মরু সাগরের দেশ ' বইটি আমার ভ্রমণমূলক গ্রন্থ হিসেবে দ্বিতীয় প্রকাশ। কিশোরীবেলা থেকে আজ প্রবীণত্বের মধ্যগগনে পৌঁছে অনুভব করছি ভ্রমণের নেশা আমার অস্তিত্বে মিশে গিয়েছে। আমার ভালো লাগে লেখার ভিতর দিয়ে পাঠককে আমার সাথে আমার পাশে নিয়ে সর্বত্র ঘুরে বেড়াতে। বাংলার বহু প্রথিতযশা ভ্রমণ কাহিনি লেখকেরা আমার মধ্যে যে নেশার বীজ বপন করেছিলেন তার অবদানও কিছু কম নয়। আমার বারবার মনে হয়েছে আমি যা দেখেছি, যা অনুভব করেছি তা শুধু নিজে উপলব্ধি না করে যাঁরা বেড়াতে ভালোবাসেন তাঁদের মাঝেও যদি পৌঁছে দেওয়া যায়, এই ভাবনা থেকেই লেখার তাগিদ অনুভব করেছি। পুস্তিকাকারে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করে প্রকাশ করার থেকে আর ভালো কিই বা হতে পারতো।
ঘুরে এলাম পাহাড় মরু সাগরের দেশ
₹200
ভ্রমণ নিয়ে আমার প্রথম বই 'লিড্সের ডায়েরি'। মাঝখানে বেশ কয়েকটি বছর পেরিয়ে এসে ' ঘুরে এলাম পাহাড় মরু সাগরের দেশ ' বইটি আমার ভ্রমণমূলক গ্রন্থ হিসেবে দ্বিতীয় প্রকাশ। কিশোরীবেলা থেকে আজ প্রবীণত্বের মধ্যগগনে পৌঁছে অনুভব করছি ভ্রমণের নেশা আমার অস্তিত্বে মিশে গিয়েছে। আমার ভালো লাগে লেখার ভিতর দিয়ে পাঠককে আমার সাথে আমার পাশে নিয়ে সর্বত্র ঘুরে বেড়াতে। বাংলার বহু প্রথিতযশা ভ্রমণ কাহিনি লেখকেরা আমার মধ্যে যে নেশার বীজ বপন করেছিলেন তার অবদানও কিছু কম নয়। আমার বারবার মনে হয়েছে আমি যা দেখেছি, যা অনুভব করেছি তা শুধু নিজে উপলব্ধি না করে যাঁরা বেড়াতে ভালোবাসেন তাঁদের মাঝেও যদি পৌঁছে দেওয়া যায়, এই ভাবনা থেকেই লেখার তাগিদ অনুভব করেছি। পুস্তিকাকারে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করে প্রকাশ করার থেকে আর ভালো কিই বা হতে পারতো।
অতুলপ্রসাদ সেন জীবন ও সংগীত
₹200
রবীন্দ্র-যুগে জন্মগ্রহণ করেও অতুলপ্রসাদ সেন বাংলা সংগীতে আপন স্বাতন্ত্র্য নিয়ে আজও মানুষের মনে জীবিত রয়েছেন। তাঁর গানে যেমন রয়েছে কাব্যগুণ, তেমনি সুরের ক্ষেত্রে বাংলার বাউল-কীর্তন, ভাবসংগীতের পাশাপাশি লক্ষ্ণৌয়ের ঠুংরি, টপ্পা, গজল, রাগপ্রধান, খেয়ালের সুর মিলে মিশে তাঁর সংগীতকে বৈচিত্র্যপূর্ণ করে তুলেছে। লক্ষ্ণৌয়ের একজন সফল ব্যারিস্টার এবং জনদরদী সেবা-পরায়ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন অতুলপ্রসাদ। অতুলপ্রসাদের জীবন ও সংগীত নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজের মাধ্যমে অতুলপ্রসাদের সংগীতকে আরও উজ্জ্বলভাবে পাঠক সমাজের সামনে তুলে ধরেছেন দীপান্বিতা সেন। 'অতুলপ্রসাদ সেন জীবন ও সংগীত' গ্রন্থটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্বতন্ত্র গ্রন্থের মর্যাদা পাবে এটাই প্রত্যাশিত।
অতুলপ্রসাদ সেন জীবন ও সংগীত
₹200
রবীন্দ্র-যুগে জন্মগ্রহণ করেও অতুলপ্রসাদ সেন বাংলা সংগীতে আপন স্বাতন্ত্র্য নিয়ে আজও মানুষের মনে জীবিত রয়েছেন। তাঁর গানে যেমন রয়েছে কাব্যগুণ, তেমনি সুরের ক্ষেত্রে বাংলার বাউল-কীর্তন, ভাবসংগীতের পাশাপাশি লক্ষ্ণৌয়ের ঠুংরি, টপ্পা, গজল, রাগপ্রধান, খেয়ালের সুর মিলে মিশে তাঁর সংগীতকে বৈচিত্র্যপূর্ণ করে তুলেছে। লক্ষ্ণৌয়ের একজন সফল ব্যারিস্টার এবং জনদরদী সেবা-পরায়ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন অতুলপ্রসাদ। অতুলপ্রসাদের জীবন ও সংগীত নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজের মাধ্যমে অতুলপ্রসাদের সংগীতকে আরও উজ্জ্বলভাবে পাঠক সমাজের সামনে তুলে ধরেছেন দীপান্বিতা সেন। 'অতুলপ্রসাদ সেন জীবন ও সংগীত' গ্রন্থটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্বতন্ত্র গ্রন্থের মর্যাদা পাবে এটাই প্রত্যাশিত।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
আমার জীবন ও কিছু কথা
₹150
প্রবীণ ও সুপরিচিত শিক্ষাবিদ, শ্রীযুক্ত কান্তি বিশ্বাস মহাশয় এর একটি আত্মজীবনীমূলক পুস্তিকা, আমার জীবন ও কিছু কথা। এই পুস্তিকাটিতে কান্তিবাবু তার জীবনের বহু কৌতূহলােদ্দীপক ও রোমাঞ্চকর ঘটনার কথা বিবৃত করেছেন যা অনেকের কাছে অজানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. কম-এ ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে এই কোর্স শেষ করেন। এই সময়ে বৃটিশ সরকার Colombo Plan-এর মধ্যে ২টি Foreign Scholarship ঘােষণা করেন—একটি পূর্ব পাকিস্তান ও একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। কাস্তিবাবু। তাঁর শিক্ষকদের একান্ত অনুপ্রেরণায় এই Scholarship এর জন্য প্রতিযােগিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। এর ফলে তিনি London- এ গিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে PhD করার সুযােগ পান কিন্তু সকলকে অবাক করে তিনি তার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও ইস্পাতদৃঢ় মেরুদণ্ডের পরিচয় দেন এবং এই সুযােগকে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ এই Scholarship গ্রহণ করলে তাকে অঙ্গীকার করতে হত যে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে কোনাে সম্পর্ক রাখতে পারবেন না।
যাই হােক, ১৯৫৬ সালে তিনি যে কলেজ থেকে পাস করেছিলেন সেই কলেজেই অধ্যাপক হিসাবে যােগ দেন এবং অল্পদিনের মধ্যেই তিনি অধ্যাপক হিসাবে সুনাম অর্জন করেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ কমিউনিষ্টরা গােপনে মৌলানা ভাসানীর National Awami Party (NAP) এর ছত্রছায়ায় কাজ করত। ওরই নির্দেশে কান্তিবাবুকে শেখ মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলা হয়। এই সময় হঠাৎ পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক আইন চালু হয় ও কান্তিবাবুর উপর গ্রেফতারি পরােয়ানা জারি হয়। নানা প্রকার রােমাঞ্চকর পরিস্থিতির মধ্যে তিনি সরকারের চোখে ধূলাে দিয়ে লুকিয়ে ১৯৬০ সালের ১০ই আগষ্ট পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন ও বনগাঁ অঞ্চলে কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন এবং একটি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ক্রমে UCRC, DYFI ও কৃষকসভার সঙ্গেও যুক্ত হন।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ১৯৮২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি স্কুলশিক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। এই সময়কালে পশ্চিমবঙ্গে ভূমিসংস্কার, পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষা এবং বিশেষ করে নারীশিক্ষার বিপুল প্রসার ও উন্নতি ঘটেছে। যা শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশের পত্রপত্রিকা এবং United Nation-এর Human Development Report -এ সপ্রশংস উল্লিখিত হয়েছে। এই সুবাদে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে বক্তৃতা করেছেন। এমনকি London বিশ্ববিদ্যালয় ও মস্কো শহরের প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।
তার অমায়িক ব্যবহার, বাহুল্যবর্জিত জীবনযাত্রা, কমিউনিষ্ট মতাদর্শের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা বহু মানুষের শ্রদ্ধা অর্জন করেছে। আশি বছর পেরিয়ে তিনি এখনও সুস্থ ও সবল আছেন। এই দৃঢ়চেতা, স্পষ্টবক্তা, কর্মযােগী মানুষটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শস্বরূপ।
ভাষাবিদ্যা ও বাংলা ভাষা
By জীবেশ নায়ক
₹300
সাহিত্য ও বিদ্যাচর্চার জন্য বা তথ্য সংরক্ষণ ও আদান-প্রদানের জন্য ভাষার ব্যবহার প্রথাগত শিক্ষায় সুনিয়মিত থাকে, যা লক্ষিত হলে পাঠ্য পুস্তকে ধ্রুপদী সাহিত্যের নমুনার বিকৃতি ঘটানাে যায়, সুবােধ্য করে তোলার অজুহাতে। ভাষার বহুমাত্রিক প্রয়ােগে সুরক্ষা ও সমুল্লতির সুফল পাওয়া সম্ভব হয় ভাষার বাহ্যিক ও অন্তর্নিহিত সূত্রাবলী সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ অধ্যয়ন থেকে। এই সম্পর্কে অবহিত ভাষা প্রয়ােগকারী বহুমাত্রিক প্রয়ােগে সিদ্ধহস্ত। সমাজ অনুমােদিত প্রচলিত ভাষার বূপ-গুণ অক্ষুন্ন রেখে চলতে এরাই পারঙ্গম। বাণিজ্যিক ব্যবহারে স্বেচ্ছাচার জনিত ভাষা বিকৃতি নিয়ন্ত্রণ করতে এঁদের সচেতন সক্রিয়তা ছাড়া গত্যন্তর নেই। সেক্ষেত্রে ভাষাবিদ্যার অনুশীলনই পথ-নির্দেশক। ভাষাবিদ্যার অনুশীলন এর ক্ষেত্রে ' ভাষাবিদ্যা ও বাংলা ভাষা ' গ্রন্থটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ভাষাবিদ্যা ও বাংলা ভাষা
By জীবেশ নায়ক
₹300
সাহিত্য ও বিদ্যাচর্চার জন্য বা তথ্য সংরক্ষণ ও আদান-প্রদানের জন্য ভাষার ব্যবহার প্রথাগত শিক্ষায় সুনিয়মিত থাকে, যা লক্ষিত হলে পাঠ্য পুস্তকে ধ্রুপদী সাহিত্যের নমুনার বিকৃতি ঘটানাে যায়, সুবােধ্য করে তোলার অজুহাতে। ভাষার বহুমাত্রিক প্রয়ােগে সুরক্ষা ও সমুল্লতির সুফল পাওয়া সম্ভব হয় ভাষার বাহ্যিক ও অন্তর্নিহিত সূত্রাবলী সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ অধ্যয়ন থেকে। এই সম্পর্কে অবহিত ভাষা প্রয়ােগকারী বহুমাত্রিক প্রয়ােগে সিদ্ধহস্ত। সমাজ অনুমােদিত প্রচলিত ভাষার বূপ-গুণ অক্ষুন্ন রেখে চলতে এরাই পারঙ্গম। বাণিজ্যিক ব্যবহারে স্বেচ্ছাচার জনিত ভাষা বিকৃতি নিয়ন্ত্রণ করতে এঁদের সচেতন সক্রিয়তা ছাড়া গত্যন্তর নেই। সেক্ষেত্রে ভাষাবিদ্যার অনুশীলনই পথ-নির্দেশক। ভাষাবিদ্যার অনুশীলন এর ক্ষেত্রে ' ভাষাবিদ্যা ও বাংলা ভাষা ' গ্রন্থটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।