“সময় অসময় নিঃসময়” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
দেশভাগের কবিতা
Publisher: একুশ শতক
₹150
” দেশভাগের কবিতা ” গ্রন্থটি ড. শঙ্কর প্রসাদ চক্রবর্তী-র একটি অসামান্য সংকলন ও সম্পাদনা। দেশভাগ – একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়। এইরকম একটি বিষয় নিয়ে তাঁর এই সম্পাদনা গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত হবে।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-dbk01
” দেশভাগের কবিতা ” গ্রন্থটি ড. শঙ্কর প্রসাদ চক্রবর্তী-র একটি অসামান্য সংকলন ও সম্পাদনা। দেশভাগ – একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়। এইরকম একটি বিষয় নিয়ে তাঁর এই সম্পাদনা গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত হবে।
Additional information
Weight | 0.4 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
দাসীসমা ভাৰ্য্যা
₹150
গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব ও তাঁর ভাবাদর্শ এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিল গণ-চেতনায়, তার প্রকাশ ঘটেছিল প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিতে, ব্যক্তিগত জীবনচর্চায় l পাশাপাশি বাণিজ্যের ক্রম-প্রসারণে ধনজীবী বণিক সম্প্রদায়ের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছিল সমাজে l এরই সঙ্গে শাস্ত্রচর্চার আদি অকৃত্রিম ঐতিহ্যের সঙ্গে মেধা, মুক্তচিন্তা ও উদার দৃষ্টির মেলবন্ধনে সমাজে কিছু নতুন মানুষ এসেছিলেন যাঁরা নতুন ভাবে ভাবতে ও ভাবাতে পারঙ্গম l নারীরাও ছিলেন এই তালিকায় l প্রচলিত রীতির অন্যায্য দিক নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলতেন l সমাজের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে প্রয়োজনে প্রতিবাদ করতেন l সে রকমই এক ঘটনার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে এই আলেখ্যে l
সাকেতের শ্রেষ্ঠী ধনঞ্জয়, শ্রাবস্তীর শ্রেষ্ঠী সুদত্ত ও মৃগারের অন্তঃপুরের নারীদের মনোজগতের নানা প্রশ্ন ও প্রতিবাদের তীক্ষ্ণ বাদানুবাদ ও কাটাছেঁড়ার সাহসী প্রকাশ নিয়ে এই আখ্যান l সেখানে উপাসিকা বিশাখা স্বয়ং বুদ্ধদেবকে প্রশ্ন করতেও দ্বিধা করছেন না l আবার বুদ্ধের প্রদর্শিত পথ ধরেই সমাজে নারীর অবস্থানকে তিনি বোঝার চেষ্টা করছেন l কিছু কিছু বক্তব্য যথার্থভাবে প্রকাশ করতে কখনও কখনও অতীতের দিকে দৃষ্টি দিতে হয় l টি.এস এলিয়ট একেই বলেছেন Mythic Method l অতীতের পৃষ্ঠা থেকে সেই মিথকে খুঁজে বের করে আনতে হয় l এবং এই মিথের মধ্যে থাকে নানা ডায়ামেনশন l এই আখ্যানে কিছু মৌলিক সামাজিক সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছে যা আজও সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক l তাই এই আখ্যান আজও মানবমনকে সংবেদিত করবে l একই সঙ্গে এ কথাও বলার যে এই লেখার বর্ণনায় রয়েছে মহাকাব্যিক গাম্ভীর্য l ভাষাই এর বাহক l তৎসম শব্দ ও পালি ভাষার সুপ্রযুক্ত প্রয়োগ আখ্যানের সময়কালকে ধরতে সাহায্য করেছে l নারীর প্রতিবাদের মূল সুরটিও তাতে চিরন্তন রূপে বাঁধা পড়েছে l
দাসীসমা ভাৰ্য্যা
₹150
গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব ও তাঁর ভাবাদর্শ এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিল গণ-চেতনায়, তার প্রকাশ ঘটেছিল প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিতে, ব্যক্তিগত জীবনচর্চায় l পাশাপাশি বাণিজ্যের ক্রম-প্রসারণে ধনজীবী বণিক সম্প্রদায়ের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছিল সমাজে l এরই সঙ্গে শাস্ত্রচর্চার আদি অকৃত্রিম ঐতিহ্যের সঙ্গে মেধা, মুক্তচিন্তা ও উদার দৃষ্টির মেলবন্ধনে সমাজে কিছু নতুন মানুষ এসেছিলেন যাঁরা নতুন ভাবে ভাবতে ও ভাবাতে পারঙ্গম l নারীরাও ছিলেন এই তালিকায় l প্রচলিত রীতির অন্যায্য দিক নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলতেন l সমাজের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে প্রয়োজনে প্রতিবাদ করতেন l সে রকমই এক ঘটনার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে এই আলেখ্যে l
সাকেতের শ্রেষ্ঠী ধনঞ্জয়, শ্রাবস্তীর শ্রেষ্ঠী সুদত্ত ও মৃগারের অন্তঃপুরের নারীদের মনোজগতের নানা প্রশ্ন ও প্রতিবাদের তীক্ষ্ণ বাদানুবাদ ও কাটাছেঁড়ার সাহসী প্রকাশ নিয়ে এই আখ্যান l সেখানে উপাসিকা বিশাখা স্বয়ং বুদ্ধদেবকে প্রশ্ন করতেও দ্বিধা করছেন না l আবার বুদ্ধের প্রদর্শিত পথ ধরেই সমাজে নারীর অবস্থানকে তিনি বোঝার চেষ্টা করছেন l কিছু কিছু বক্তব্য যথার্থভাবে প্রকাশ করতে কখনও কখনও অতীতের দিকে দৃষ্টি দিতে হয় l টি.এস এলিয়ট একেই বলেছেন Mythic Method l অতীতের পৃষ্ঠা থেকে সেই মিথকে খুঁজে বের করে আনতে হয় l এবং এই মিথের মধ্যে থাকে নানা ডায়ামেনশন l এই আখ্যানে কিছু মৌলিক সামাজিক সমস্যাকে তুলে ধরা হয়েছে যা আজও সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক l তাই এই আখ্যান আজও মানবমনকে সংবেদিত করবে l একই সঙ্গে এ কথাও বলার যে এই লেখার বর্ণনায় রয়েছে মহাকাব্যিক গাম্ভীর্য l ভাষাই এর বাহক l তৎসম শব্দ ও পালি ভাষার সুপ্রযুক্ত প্রয়োগ আখ্যানের সময়কালকে ধরতে সাহায্য করেছে l নারীর প্রতিবাদের মূল সুরটিও তাতে চিরন্তন রূপে বাঁধা পড়েছে l
ঘরের মানুষ প্রেমচন্দ
By সমর চন্দ
₹150
হিন্দি জীবনী সাহিত্যে শিবরানী দেবী প্রেমচন্দের লেখা ' প্রেমচন্দ ঘর মে ' বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৪৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯৫২ সালে এলাহাবাদের হিন্দুস্থান পাবলিশিং হাউস থেকে বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ ছাপা হয়। বাংলা অনুবাদের সময় ( ঘরের মানুষ প্রেমচন্দ ) হুবহু অনুবাদ না করে, একই বিষয়ের পুনরুক্তি না ঘটিয়ে মূলভাবের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সাল, তারিখ অনুযায়ী সাজিয়ে নেওয়া হয়েছে। অনুবাদটি মাসিক নন্দন পত্রিকায় (জুন ২০১৫ - জানু ২০১৬) ছয় কিস্তিতে প্রকাশিত হয়েছে। গ্রন্থ হিসাবে প্রকাশিত হওয়ার আগে আরাে কিছু অংশ সংযােজিত হয়েছে। আশা করি প্রেমচন্দ অনুরাগীদের কাছে অনুবাদটি সমাদৃত হবে।
ঘরের মানুষ প্রেমচন্দ
By সমর চন্দ
₹150
হিন্দি জীবনী সাহিত্যে শিবরানী দেবী প্রেমচন্দের লেখা ' প্রেমচন্দ ঘর মে ' বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৪৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯৫২ সালে এলাহাবাদের হিন্দুস্থান পাবলিশিং হাউস থেকে বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ ছাপা হয়। বাংলা অনুবাদের সময় ( ঘরের মানুষ প্রেমচন্দ ) হুবহু অনুবাদ না করে, একই বিষয়ের পুনরুক্তি না ঘটিয়ে মূলভাবের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সাল, তারিখ অনুযায়ী সাজিয়ে নেওয়া হয়েছে। অনুবাদটি মাসিক নন্দন পত্রিকায় (জুন ২০১৫ - জানু ২০১৬) ছয় কিস্তিতে প্রকাশিত হয়েছে। গ্রন্থ হিসাবে প্রকাশিত হওয়ার আগে আরাে কিছু অংশ সংযােজিত হয়েছে। আশা করি প্রেমচন্দ অনুরাগীদের কাছে অনুবাদটি সমাদৃত হবে।
গল্প তিরিশ
By উৎপল ঝা
₹350
গল্পকার উৎপল ঝা তাঁর সাবলীল গদ্যে এই গল্পগুলিতে উন্মোচন করেছেন উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতার গ্রামীণ ও নাগরিক পরিমণ্ডলে নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষের জীবনসংগ্রামের নানা রূপ, নানা স্বর, নানা মাত্রা। চারদশকের গল্পযাত্রায় তিনি তুলে ধরেছেন কত বিচিত্র চরিত্র, সমাজ অর্থনীতির বাঁকবদল ও তার সঙ্গে চরিত্রের বড়ো দ্বন্দ সংঘাত, উপলব্ধি অনুভবের কথাচিত্র। সেই গল্পগুলির নির্বাচিত তিরিশটি গল্পের সংকলন এই গ্রন্থ ' গল্প তিরিশ '।
ওপার বাংলা থেকে ভিটেমাটি ছেড়ে অত্যাচারিত হয়ে আসা মানুষের স্মৃতিতে কোথাও বয়ে যায় সাম্প্রদায়িক চোরাস্রোত, অথচ সবার ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়, সে ছবি ফুটে ওঠে ‘বন্ধ তোরঙ্গ’ গল্পে। বার্ড ফৢ এসে কীভাবে তছনছ করে দেয় কিছু মানুষের জীবন, বন্যার মধ্যে ত্রাণের কাজে সরকারি কর্মচারীর সুবিধা অসুবিধা ও তারই মধ্যে কারও কারও সরকারি কর্তব্য পেরিয়েও মানবিক সুখ, উত্তরবঙ্গের গ্রাম থেকে কলকাতা শহরে এসে উজ্জল কেরিয়ারের স্বপ্নে নিজেকে সঁপে দেওয়া মানুষটির যান্ত্রিক জীবনে মোহভঙ্গ ও শিকড়ে ফেরার আর্তি, ক্ষমতা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নানা অন্ধকার গলিপথ ও দালালরাজ, খাবারের ডেলিভারিম্যানের জীবনযাপনের আশা নিরাশা-যন্ত্রণা-আনন্দের টুকরো কথা - একের পর এক গল্পে এইসব জীবন কথা এঁকে চলেন গল্পকার। গল্পের নাম যথাক্রমে,'একা সনাতন', ‘এই চলাচল’, ‘নিথর পৃথিবী’, ‘এই প্ররোচনামূলক দুর্ঘটনা’, ‘মই’, ‘খালাসবাবু’, ' কাল প্রধানমন্ত্রী আসছে ', ' ফ্যাচাংয়ের রংরুটে একদিন ' ইত্যাদি।
গল্প তিরিশ
By উৎপল ঝা
₹350
গল্পকার উৎপল ঝা তাঁর সাবলীল গদ্যে এই গল্পগুলিতে উন্মোচন করেছেন উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতার গ্রামীণ ও নাগরিক পরিমণ্ডলে নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষের জীবনসংগ্রামের নানা রূপ, নানা স্বর, নানা মাত্রা। চারদশকের গল্পযাত্রায় তিনি তুলে ধরেছেন কত বিচিত্র চরিত্র, সমাজ অর্থনীতির বাঁকবদল ও তার সঙ্গে চরিত্রের বড়ো দ্বন্দ সংঘাত, উপলব্ধি অনুভবের কথাচিত্র। সেই গল্পগুলির নির্বাচিত তিরিশটি গল্পের সংকলন এই গ্রন্থ ' গল্প তিরিশ '।
ওপার বাংলা থেকে ভিটেমাটি ছেড়ে অত্যাচারিত হয়ে আসা মানুষের স্মৃতিতে কোথাও বয়ে যায় সাম্প্রদায়িক চোরাস্রোত, অথচ সবার ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়, সে ছবি ফুটে ওঠে ‘বন্ধ তোরঙ্গ’ গল্পে। বার্ড ফৢ এসে কীভাবে তছনছ করে দেয় কিছু মানুষের জীবন, বন্যার মধ্যে ত্রাণের কাজে সরকারি কর্মচারীর সুবিধা অসুবিধা ও তারই মধ্যে কারও কারও সরকারি কর্তব্য পেরিয়েও মানবিক সুখ, উত্তরবঙ্গের গ্রাম থেকে কলকাতা শহরে এসে উজ্জল কেরিয়ারের স্বপ্নে নিজেকে সঁপে দেওয়া মানুষটির যান্ত্রিক জীবনে মোহভঙ্গ ও শিকড়ে ফেরার আর্তি, ক্ষমতা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নানা অন্ধকার গলিপথ ও দালালরাজ, খাবারের ডেলিভারিম্যানের জীবনযাপনের আশা নিরাশা-যন্ত্রণা-আনন্দের টুকরো কথা - একের পর এক গল্পে এইসব জীবন কথা এঁকে চলেন গল্পকার। গল্পের নাম যথাক্রমে,'একা সনাতন', ‘এই চলাচল’, ‘নিথর পৃথিবী’, ‘এই প্ররোচনামূলক দুর্ঘটনা’, ‘মই’, ‘খালাসবাবু’, ' কাল প্রধানমন্ত্রী আসছে ', ' ফ্যাচাংয়ের রংরুটে একদিন ' ইত্যাদি।
বাংলা কবিতায় আধুনিক
By জীবেশ নায়ক
₹250
কিশাের বয়সে বাংলা কবিতা আমার কাছে উপভােগ্য বিষয় ছিল। বিশেষ করে যে সব কবিতায় দেশপ্রেম, ঐতিহ্য গৌরব, সাম্য ও স্বাধীনতার বাণী ছন্দে প্রকাশ পেত -সেসব কবিতা যথেষ্ট উদ্দীপনার সঞ্চার করত। মধুসূদন, দ্বিজেন্দ্রলাল, রবীন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত-মূলত এরাই ছিলেন আমার ধারণায় সেরা কবি। ইংরেজ কবিদের মধ্যে শেকসপিয়র, কোলরিজ, শেলি, কিটস এবং সংস্কৃতের কালিদাস তাে সবার আগে। তার সঙ্গে আরও অনেকের শ্লোক ও প্রকীর্ণ কবিতা। বেশি আনন্দ পাওয়া যেত মানবিক আবেদনের ছোঁয়া এবং প্রতিবাদের বাণী-বৈষম্য, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রচিত কবিতা পাঠ করে। তথাকথিত আধুনিকের ছকে বাঁধা কবিতার সঙ্গে পরিচয় হল আরও কিছু পরে। ইতিমধ্যে বৈষ্ণব ও শাক্ত পদকারদের কাব্যভাবও মনকে টানছে। সেই অবস্থায় মনে হতে লাগল বাংলা সাহিত্যে কাব্য পরিবেশ যেন স্পষ্ট দুটো ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত কবিতার জনপ্রিয়তা সমাজে বিস্তারিত ক্ষেত্র পেয়েছিল। আধুনিক যেন ভাষায়, ভঙ্গিতে, বিষয়বস্তুতে একটা অচেনার দুর্বোধ্যতার দূরত্ব রচনা করে দিল। সত্য বলতে কী, সামান্য কিছু কবিতা বাদ দিলে আধুনিকের প্রতি মনে মনে একটা বিরাগ দেখা দিল। সবচেয়ে বেশি লাগত-কবিতার সম্পূর্ণ অচেনা নাগরিক ভাবাপন্ন পরিবেশ এবং একান্ত ব্যক্তি আবেষ্টনীর বেড়াজাল ছিন্ন করতে না পারার অক্ষমতা। অবশ্য ব্যক্তিগত ভাবে আধুনিক কবিতার সঙ্গে অনাত্মীয়তার বাধা আমাকে বেশি পীড়িত করত। নাগরিক ভাবের কায়দাকানুন, হাবভাব আমার অজানাই থেকে গেছে। তার সঙ্গে বিদেশি কাব্য ও মতবাদ থেকে অবিরল পরিগ্রহণ আধুনিক থেকে মানুষকে আরও দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
বাংলা কাব্যের আঙিনায় সর্বস্তরের মানুষকে স্বচ্ছন্দ বিচরণের অধিকার থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে? তার রহস্য যদি কিছু থাকে তা সন্ধানের একটা শপথ কাজ করছিল। বহু পরিশ্রম করে অনেক আধুনিক কাব্য রচনার পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করেছি। তাতে কোনাে কোনাে কবির অনেক কবিতা এবং অন্য অনেকের কিছু কবিতা আমার কাছে প্রশংসনীয় মনে হয়েছে। কিন্তু এমন পরিশ্রম ব্যয় করার শর্ত পূরণ করে কবিতার দিকে নানা কারণে সব মানুষের পক্ষে অভিমুখী হওয়া সম্ভব কি? প্রায়শই আমার মনে হত, মানবিক কোন কিছুকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য মানুষের মনকে ভিন্নমুখী করার কোন প্রয়াস নয়তাে? তার খোঁজ নিতে গিয়ে যা পেয়েছি ' বাংলা কবিতায় আধুনিক ' বইতে তাকেই তুলে ধরা গেল।
বাংলা কবিতায় আধুনিক
By জীবেশ নায়ক
₹250
কিশাের বয়সে বাংলা কবিতা আমার কাছে উপভােগ্য বিষয় ছিল। বিশেষ করে যে সব কবিতায় দেশপ্রেম, ঐতিহ্য গৌরব, সাম্য ও স্বাধীনতার বাণী ছন্দে প্রকাশ পেত -সেসব কবিতা যথেষ্ট উদ্দীপনার সঞ্চার করত। মধুসূদন, দ্বিজেন্দ্রলাল, রবীন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত-মূলত এরাই ছিলেন আমার ধারণায় সেরা কবি। ইংরেজ কবিদের মধ্যে শেকসপিয়র, কোলরিজ, শেলি, কিটস এবং সংস্কৃতের কালিদাস তাে সবার আগে। তার সঙ্গে আরও অনেকের শ্লোক ও প্রকীর্ণ কবিতা। বেশি আনন্দ পাওয়া যেত মানবিক আবেদনের ছোঁয়া এবং প্রতিবাদের বাণী-বৈষম্য, অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে রচিত কবিতা পাঠ করে। তথাকথিত আধুনিকের ছকে বাঁধা কবিতার সঙ্গে পরিচয় হল আরও কিছু পরে। ইতিমধ্যে বৈষ্ণব ও শাক্ত পদকারদের কাব্যভাবও মনকে টানছে। সেই অবস্থায় মনে হতে লাগল বাংলা সাহিত্যে কাব্য পরিবেশ যেন স্পষ্ট দুটো ভাগে ভাগ হয়ে গেছে।
রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত কবিতার জনপ্রিয়তা সমাজে বিস্তারিত ক্ষেত্র পেয়েছিল। আধুনিক যেন ভাষায়, ভঙ্গিতে, বিষয়বস্তুতে একটা অচেনার দুর্বোধ্যতার দূরত্ব রচনা করে দিল। সত্য বলতে কী, সামান্য কিছু কবিতা বাদ দিলে আধুনিকের প্রতি মনে মনে একটা বিরাগ দেখা দিল। সবচেয়ে বেশি লাগত-কবিতার সম্পূর্ণ অচেনা নাগরিক ভাবাপন্ন পরিবেশ এবং একান্ত ব্যক্তি আবেষ্টনীর বেড়াজাল ছিন্ন করতে না পারার অক্ষমতা। অবশ্য ব্যক্তিগত ভাবে আধুনিক কবিতার সঙ্গে অনাত্মীয়তার বাধা আমাকে বেশি পীড়িত করত। নাগরিক ভাবের কায়দাকানুন, হাবভাব আমার অজানাই থেকে গেছে। তার সঙ্গে বিদেশি কাব্য ও মতবাদ থেকে অবিরল পরিগ্রহণ আধুনিক থেকে মানুষকে আরও দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
বাংলা কাব্যের আঙিনায় সর্বস্তরের মানুষকে স্বচ্ছন্দ বিচরণের অধিকার থেকে কেন বঞ্চিত করা হবে? তার রহস্য যদি কিছু থাকে তা সন্ধানের একটা শপথ কাজ করছিল। বহু পরিশ্রম করে অনেক আধুনিক কাব্য রচনার পাঠোদ্ধার করার চেষ্টা করেছি। তাতে কোনাে কোনাে কবির অনেক কবিতা এবং অন্য অনেকের কিছু কবিতা আমার কাছে প্রশংসনীয় মনে হয়েছে। কিন্তু এমন পরিশ্রম ব্যয় করার শর্ত পূরণ করে কবিতার দিকে নানা কারণে সব মানুষের পক্ষে অভিমুখী হওয়া সম্ভব কি? প্রায়শই আমার মনে হত, মানবিক কোন কিছুকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য মানুষের মনকে ভিন্নমুখী করার কোন প্রয়াস নয়তাে? তার খোঁজ নিতে গিয়ে যা পেয়েছি ' বাংলা কবিতায় আধুনিক ' বইতে তাকেই তুলে ধরা গেল।