“রবীন্দ্রনাথকে যতটুকু জানি” has been added to your cart. View cart
Add to Wishlist
সত্তরের রাজনৈতিক উপন্যাস
Publisher: একুশ শতক
₹200
মুক্তিসংগ্রামে, স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গে, আশা ও হতাশায়। আনন্দ ও বিষাদে সত্তর এক বিশেক দশক। সত্তরের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্দ, নানান বৈপরীত্যময় ঘটনারাজি থেকে ঔপন্যাসিকেরা তাঁদের উপন্যাসের উপাদান কুড়িয়েছেন। ‘সত্তরের রাজনৈতিক উপন্যাস’ সত্তরের রাজনৈতিক পটভূমিতে লেখা ২০ জন ঔপন্যাসিকের ৪০ টি উপন্যাসের আলোচনা।
In stock
Usually dispatched in 2 to 3 days
Safe & secure checkout
SKU:
ES-sru01
মুক্তিসংগ্রামে, স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গে, আশা ও হতাশায়। আনন্দ ও বিষাদে সত্তর এক বিশেক দশক। সত্তরের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্দ, নানান বৈপরীত্যময় ঘটনারাজি থেকে ঔপন্যাসিকেরা তাঁদের উপন্যাসের উপাদান কুড়িয়েছেন। ‘সত্তরের রাজনৈতিক উপন্যাস’ সত্তরের রাজনৈতিক পটভূমিতে লেখা ২০ জন ঔপন্যাসিকের ৪০ টি উপন্যাসের আলোচনা।
Additional information
Weight | 0.3 kg |
---|
একই ধরণের গ্রন্থ
অ্যান্টিডোট
By ড. শাওন সেন
₹200
আমাদের চতুর্দিকে যে অসহিষ্ণুতা, প্রতিহিংসা, ভণ্ডামির বিষ ছড়িয়ে পড়েছে তার বিরুদ্ধে এক সোচ্চার উচ্চারণ অ্যান্টিডোট - এর কবিতাগুলি। এটি লেখকের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ।
অ্যান্টিডোট
By ড. শাওন সেন
₹200
আমাদের চতুর্দিকে যে অসহিষ্ণুতা, প্রতিহিংসা, ভণ্ডামির বিষ ছড়িয়ে পড়েছে তার বিরুদ্ধে এক সোচ্চার উচ্চারণ অ্যান্টিডোট - এর কবিতাগুলি। এটি লেখকের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ।
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
আসামে বাঙালি মৃগয়া
₹300
আসামে বাঙালি মৃগয়া গ্রন্থের প্রকৃত লেখক হলো সময়। না, এ কোনো বিনয়-বচন নয়; এর চেয়ে বড়ো সত্যবদ্ধ স্বর আর কিছু নেই এই মুহূর্তে। এই বইতে যেসব বয়ান ও তথ্য সংকলিত হয়েছে,তা নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃসময়ের জটিলতর আবর্ত তৈরি হয়ে গেছে। এ যেন দ্রৌপদীর শাড়ির মতো অফুরান; তাতে ভাজের পরে ভাঁজ, পরতের পরে পরত। আসামের বাঙালির শত্রু ঘরে এবং বাইরে আরও দুর্বার হয়ে পড়েছে। নাগরিকপঞ্জি তৈরির অজুহাতে রাষ্ট্রশক্তি বাঙালির জাতিসাকে মুছে ফেলতে চাইছে। শুধু আসামের বাঙালিই বিপন্ন নয়, পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের সর্বত্র বাংলাভাষী হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান নীতির ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসে সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। এত বড়ো দুঃসময় দেশভাগের আঁধির প্রহরেও দেখা যায়নি। আসামে এবং পশ্চিমবঙ্গে, ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও, শত্রুপক্ষ উইপোকাদের নিশ্চিহ্ন করার প্রাথমিক উদ্যমে সফল হয়ে গেছে।
হিন্দুত্ববাদের এবং ইসলামি মৌলবাদের চোরাবালিতে ডুবে যাচ্ছে বাঙালি। সাধারণ নির্বাচনের ঢাকের বাদ্যি হয়ে পড়েছে মেকি দেশপ্রেম। শহরে ও মফস্বলে বাঙালি আর বাঙালি নেই; তারা সেই হিন্দুস্তানের কাছে মেরুদণ্ড সঁপে দিয়েছে যা তাদের জাতিসত্তাকে মধ্যযুগের ঘনঘোর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে। যা শুরু হয়েছিল আসামের বাঙালিদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অচিরেই তা জাতীয় মহাশ্মশানে এবং সমাধিভূমিতে পরিসমাপ্ত হবে। বোধ-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে বাঙালি হিন্দি-আধিপত্যবাদের লেজুড়বৃত্তি করছে প্রকাশ্যে। তাই সীমাহীন দুর্নীতি, প্রশাসনিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিদ্বেষের মহামারী আর্থসামাজিক বিনাশ ও কৃত্রিম দেশপ্রেমের বানানো বন্যায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই সুযোগে বাঙালি-বিদ্বেষী অসমিয়া আধিপত্যবাদ (এবং বিভিন্ন প্রাদেশিক প্রভুত্ববাদ) ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রশক্তির প্রকাশ্য মদতে বাঙালি-মৃগয়ার অস্তিম পর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
রণক্লান্ত সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরা দুরূহতম এই সংকটে নিশ্চয় উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে দেবেন না। যে-কোনোভাবে সীমাহীন রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবিলায় তাদের তৈরি থাকতেই হবে। এই বইকে যদি আমাদের সামূহিক জেগে থাকার দস্তাবেজ হিসেবে গ্রহণ করেন পড়ুয়ারা, তবেই এ প্রয়াস সার্থক হবে। আমরা যারা ক্ষমতা কেন্দ্রের লজ্জাহীন আক্রোশের প্রতি তর্জনি সংকেত করতে চেয়েছি, আত্মিক নৈরাজ্যের মুখোমুখি হয়েও জাতিসত্তার প্রশ্নে আপসরফা করতে রাজি নই। এই আমাদের সমবায়ী স্বর ও প্রত্যয় যা বইতে ব্যক্ত হয়েছে। বাঙালি আসামে থাকুক বা পশ্চিমবঙ্গে বা অন্য কোথাও আমরা বারবার এই ঘোষণাই করব : বাঙালির কোনো হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টীয়-বৌদ্ধ হয় না; বাঙালি শুধুই বাঙালি।
আসামে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ জারি থাকবে...
অর্পিত জীবন
By চন্দন আনোয়ার
₹200
রাষ্ট্র নিজেই যদি তার নাগরিককে শত্র্রু এবং নাগরিকের জীবন, বাস্তুভিটা, সম্পদ-সম্পত্তিকে ‘শত্র্রুর সম্পত্তি’ বলে আইন করে এবং দেশত্যাগের পথ তৈরি করে দেয়, সেই দেশের সেই আইনের ফাঁদে পড়া নাগরিকের জীবন-যন্ত্রণার প্রকৃতচিত্র কী কোন ভাষায় ব্যাখা করা সম্ভব? ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের পরে অদ্যবধি এই আইনের ফাঁদে পড়া বাস্তুভিটা হারা, দেশহারা, শেকড়চ্যুত মানুষের জীবন-বাস্তবতার এক করুণ আখ্যান চন্দন আনোয়ারের ' অর্পিত জীবন ’। শত্র্রু সম্পত্তি আইনের (স্বাধীনতার পরে যার নাম অর্পিত সম্পতি আইন) অভিঘাতে দেশত্যাগে বাধ্য কোটির উর্ধ্বে হিন্দুগোষ্ঠীর জীবনবাস্তবতা নিয়ে ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক বা সামাজিক গবেষণা-ব্যাখ্যা যথেষ্ট থাকলেও এই আইনের ফাঁদের পড়া মানুষের ব্যক্তিজীবনের সংকট বা অন্তর্বেদনার গভীরতর তদন্ত শুধুমাত্র উপন্যাসেই উঠে আসা সম্ভব এবং ঔপন্যাসিক সেই চেষ্টাই করেছেন।
অর্পিত জীবন
By চন্দন আনোয়ার
₹200
রাষ্ট্র নিজেই যদি তার নাগরিককে শত্র্রু এবং নাগরিকের জীবন, বাস্তুভিটা, সম্পদ-সম্পত্তিকে ‘শত্র্রুর সম্পত্তি’ বলে আইন করে এবং দেশত্যাগের পথ তৈরি করে দেয়, সেই দেশের সেই আইনের ফাঁদে পড়া নাগরিকের জীবন-যন্ত্রণার প্রকৃতচিত্র কী কোন ভাষায় ব্যাখা করা সম্ভব? ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দের পরে অদ্যবধি এই আইনের ফাঁদে পড়া বাস্তুভিটা হারা, দেশহারা, শেকড়চ্যুত মানুষের জীবন-বাস্তবতার এক করুণ আখ্যান চন্দন আনোয়ারের ' অর্পিত জীবন ’। শত্র্রু সম্পত্তি আইনের (স্বাধীনতার পরে যার নাম অর্পিত সম্পতি আইন) অভিঘাতে দেশত্যাগে বাধ্য কোটির উর্ধ্বে হিন্দুগোষ্ঠীর জীবনবাস্তবতা নিয়ে ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক বা সামাজিক গবেষণা-ব্যাখ্যা যথেষ্ট থাকলেও এই আইনের ফাঁদের পড়া মানুষের ব্যক্তিজীবনের সংকট বা অন্তর্বেদনার গভীরতর তদন্ত শুধুমাত্র উপন্যাসেই উঠে আসা সম্ভব এবং ঔপন্যাসিক সেই চেষ্টাই করেছেন।
উপন্যাসের আঙ্গিক ও তারাশঙ্কর
₹150
Tarasankar has a lot to wirte about, but dose not seem to know how to write.' একথা বলেছিলেন বুদ্ধদেব বসু। কিন্তু রীতি সচেতন সমালােকচ ও পাঠককে মনে রাখতে হবে, উপন্যাসের জন্ম কোন রূপ (form) জিজ্ঞাসার নিবৃত্তির জন্য নয়, বরং জীবনরহস্যের স্বর-সন্ধানেই তার পথ চলা। আখ্যান-নিমিতির বিষয়টি লেখকের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত 'ভিশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। লেখক যে দৃষ্টিকোণ থেকে জীবনকে দেখেছেন। এবং যে আঙ্গিকে দেখাতে চাইছেন তা যদি পাঠকের হৃদয়ে ব্যাপকভাবে সংক্রামিত হয়, আশ্রিত আঙ্গিকে যদি জীবনের রসহ্যময় কানিনি বিশ্বাসযােগ্য হয়ে ওঠে তাহলে সে আঙ্গিক শ্রেষ্ঠতার দাবী রাখে। Percy Lubbok মনে করেন 'The best form is that which make the most of its subject there is no other meaning of form in fiction." তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনের যেসব প্রেক্ষিত নির্বাচন করেছেন এবং যে আঙ্গিকে রূপায়িত করেছেন তাতে কোনাে অসংগতি চোখে পড়ে না। তিনি কথকতার সচ্ছল ভঙ্গিতে, অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ, প্রতীক-প্রতিমার ঋদ্ধ শৈলীতে, ভাষার বিশ্বস্ততায়, তার জীবনকে দেখার ব্যাপ্ত অভিজ্ঞতা ও আন্তরিকতার অকৃত্রিম স্পর্শে তাঁর আখ্যানের গ্রাহ্যতা আনতে সক্ষম হয়েছেন। লেখক ' উপন্যাসের আঙ্গিক ও তারাশঙ্কর ' গ্রন্থে তাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
উপন্যাসের আঙ্গিক ও তারাশঙ্কর
₹150
Tarasankar has a lot to wirte about, but dose not seem to know how to write.' একথা বলেছিলেন বুদ্ধদেব বসু। কিন্তু রীতি সচেতন সমালােকচ ও পাঠককে মনে রাখতে হবে, উপন্যাসের জন্ম কোন রূপ (form) জিজ্ঞাসার নিবৃত্তির জন্য নয়, বরং জীবনরহস্যের স্বর-সন্ধানেই তার পথ চলা। আখ্যান-নিমিতির বিষয়টি লেখকের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত 'ভিশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। লেখক যে দৃষ্টিকোণ থেকে জীবনকে দেখেছেন। এবং যে আঙ্গিকে দেখাতে চাইছেন তা যদি পাঠকের হৃদয়ে ব্যাপকভাবে সংক্রামিত হয়, আশ্রিত আঙ্গিকে যদি জীবনের রসহ্যময় কানিনি বিশ্বাসযােগ্য হয়ে ওঠে তাহলে সে আঙ্গিক শ্রেষ্ঠতার দাবী রাখে। Percy Lubbok মনে করেন 'The best form is that which make the most of its subject there is no other meaning of form in fiction." তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনের যেসব প্রেক্ষিত নির্বাচন করেছেন এবং যে আঙ্গিকে রূপায়িত করেছেন তাতে কোনাে অসংগতি চোখে পড়ে না। তিনি কথকতার সচ্ছল ভঙ্গিতে, অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ, প্রতীক-প্রতিমার ঋদ্ধ শৈলীতে, ভাষার বিশ্বস্ততায়, তার জীবনকে দেখার ব্যাপ্ত অভিজ্ঞতা ও আন্তরিকতার অকৃত্রিম স্পর্শে তাঁর আখ্যানের গ্রাহ্যতা আনতে সক্ষম হয়েছেন। লেখক ' উপন্যাসের আঙ্গিক ও তারাশঙ্কর ' গ্রন্থে তাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।